ই-পেপার বাংলা কনভার্টার সোমবার ১৩ মে ২০২৪ ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
ই-পেপার সোমবার ১৩ মে ২০২৪
ব্রেকিং নিউজ:




ঢাকা-১০ আসনের আলোচনায় ববি, পরশ-নানক
Published : Tuesday, 31 December, 2019 at 11:40 AM
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কলাবাগান ও নিউমার্কেট) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। গত রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাপসকে দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তাপস পদত্যাগ করার পর থেকেই আলোচনায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। 
দলীয় সূত্রে জানা যায়, তাপস সিটি করপোরেশনে লড়াই করায় এ আসনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নাম আছে আলোচনায়। আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য অ্যাডিভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। যদিও তার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, নানক নিজে প্রার্থী হওয়ার কোনো আগ্রহ দেখাননি। তবে দলীয়প্রধান যদি মনে করেন, সেক্ষেত্রে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। আবার অনেকেই মনে করছেন তাপসের উত্তরাধীকার হিসেবে এ আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন তার বড় ভাই শেখ ফজলে শামস পরশ। যিনি গত ২৩ নভেম্বর যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাপসের পদত্যাগ করা আসনে প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এক সদস্য বলেন, তাপস ইতিমধ্যেই ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আমরা এই আসনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। হাতে সময় আছে, আরো কয়েকদিন পর এই আসনের বিষয়ে মনোযোগ দেবে আওয়ামী লীগ।
এদিকে, আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, আমার বাবার হাত ধরে আমি রাজনীতিতে এসেছি। বাবার অবর্তমানে আমার অভিভাবক নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। আমার জন্য যা ভালো সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি এতে খুশি।
গতকাল সোমবার নগর ভবনে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সাঈদ খোকন আরও বলেন, আমার নেত্রী আমার জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আমি খুশি মনে হাসি মনে মেনে নিয়েছি।
আপনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে নির্বাচনে সহযোগিতা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, আমার নেত্রী এবং আমি যে পুরান ঢাকার বাসিন্দা তাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব আমি কি করবো। তা ছাড়া আমি মন্ত্রী পদমর্যাদায় একজন মেয়র।
আপনি ব্যর্থ কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন আরো বলেন, আমি তা মনে করি না। বরং আমি মানুষ। আর মানুষ হিসেবে কিছু ভুল-ত্রæটি হতে পারে। ১০টি কাজের সবগুলো সঠিকভাবে হয়তো সম্পন্ন করতে পারিনি। তবে একটি ইতিবাচক সূচনা করতে পেরেছি। ‘জলসবুজে ঢাকা’সহ বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলোর কাজ প্রায় ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২০ ভাগ দুই-এক মাসের মধ্যে শেষ হবে। এ ছাড়া কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প রয়েছে, সেগুলো পরবর্তী মেয়র এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে প্রত্যাশা করি। ভুল-ত্রæটি শুধরে নিয়ে পরবর্তী মেয়রকে আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে সহযোগিতা করবো।
উল্লেখ্য, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আলোচনা ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কে প্রার্থী হচ্ছেন? সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত রোববার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
পদত্যাগ করলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আতিকুল ইসলাম। গতকাল সোমবার বিকাল ৪টার দিকে তিনি তার পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর ডিএনসিসি সচিবের মাধ্যমে পত্রটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠান।
পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘মেয়র পদে থেকে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। এটাই আইন। যেহেতু আগামী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আমি আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হেয়ছে। তাই আইন অনুযায়ী একটু আগে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।
সে হিসেবে গতকাল সোমবার ডিএনসিসি কার্যালয়ে এই মেয়াদের শেষ অফিস করলেন আতিতুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির আসন্ন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে গত রোববার আতিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি ডিএনসিসির উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন আতিকুল ইসলাম। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে জয়ী হন আতিকুল। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মেয়র আনিসুল হকের অকাল মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। পরে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি পুনরায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 








সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected]